Sunday, May 5, 2019

ছোট ব্যবসা সংক্রান্ত শিক্ষা - পর্ব 3









আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় ইলেকট্রিকাল বিষয় নিয়ে যারা যারা ব্যবসা করতে চান, তারা কোথা থেকে কারিগরি শিক্ষা পেতে পারেন।  আধুনিক সভ্যতার অন্যতম স্তম্ভ বিদ্যুৎ বা ইলেকট্রিসিটি এবং এই বিষয় ব্যবসার যথেষ্ট চাহিদা আছে।  ইলেক্ট্রিসিটিতে কারিগরি দক্ষতা অর্জন করে আপনি যা যা করতে পারেন তা হলো -

ইলেকট্রিকাল ওয়ারিং
গ্রাফিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
ইলেকট্রিকাল মেশিন (ইনস্টলেশন , মেইনটেনেন্স এবং রিপেয়ার )
হোম এপ্পলাইন্সেস  (ইনস্টলেশন , মেইনটেনেন্স এবং রিপেয়ার )
ইলেকট্রিকাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্ম
ডোমেস্টিক ইলেকট্রিকাল সল্যুশন প্রোভাইডার

তাহলে বুঝতেই পারছেন, ব্যবসায় সুযোগ কত বেশি , আসুন দেখে নি এক নজরে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণীর পর কোথা থেকে কি ভাবে আপনি কারিগরি শিক্ষা রপ্ত করবেন


1. CERTIFICATE IN ELECTRICIAN
সরকারি বা বেসরকারি প্রায় সবকটি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা অ্যাডভান্সড ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে করানো হয়। এছাড়াও ক্ষুদ্র শিল্প মন্ত্রকের বিভিন্ন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে আপনি এই কোর্স করতে পারেন।

2. ITI Electrician
Industrial Training Institutes গুলি ২ বছরের একটি ইলেকট্রিকাল ট্রেনিং কোর্স করায়।  ন্যূনতম যোগ্যতা দশম পাশ। নীচের লিংকে ক্লিক করে জেনে নিন সরকারি ITI কেন্দ্রগুলি কোথায় আছে
http://jobprostuti.com/list-of-iti-centres-in-west-bengal-with-details/



3. Diploma in Electrical Engineering
ন্যূনতম যোগ্যতা দশম শ্রেণী পাশ এবং মোট ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলে এবং প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করলে এই কোর্সটি করতে পারেন।  রাজ্যব্যাপী যে যে পলিটেকনিকগুলিতে এই শিক্ষা দেওয়া হয় তাদের তালিকা দেখতে নীচে লিংকে ক্লিক করুন
https://targetstudy.com/colleges/diploma-in-electrical-engineering-diploma-colleges-in-west-bengal.html



তবে কোর্স গুলিতে ভর্তি হবার আগে অবশ্যই বৈধতা যাচাই করে নিন।  বিজ্ঞাপনের চমকের ফাঁদে পা দেবেন না।



চোখ রাখুন আমাদের ব্লগে।  নিয়মিত লাইক , শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং আপনাদের মতামত অবশ্যই দেবেন।

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট - http://ssmwebdeveloper.000webhostapp.com/

Thursday, May 2, 2019

ছোট ব্যবসা সংক্রান্ত শিক্ষা - পর্ব ২








আপনি কি রেস্তোঁরা বা হোম ডেলিভারি অর্থাৎ রান্না বান্না সংক্রান্ত বিষয় ব্যবসা করতে ইচ্ছুক।  তাহলে বলতে হয় এই ব্যবসাতে সফলতার একটি  অন্যতম চাবিকাঠি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা।  কারণ এই ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা হয় দাঁড়াবে আপনার ক্রেতাদের কাছে আপনার দক্ষতার অন্যতম প্রমাণ যা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা চালাতে গেলে খুবই প্রয়োজন।

হোম ডেলিভারি বা হোটেল বা রেঁস্তোরা বা ক্যাটারিং , যে ব্যবসাই খুলুন না কেন আপনাকে দক্ষ হতে হবে
১. প্ল্যান করে মেনু তৈরী করা অর্থাৎ আকর্ষণীয় মেনু তাও ক্রেতাদের বাজেটের মধ্যে।
২. ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার তৈরী করা অর্থাৎ গুণগত মান বজায় রাখা।
৩. যদি আপনি আপনার ব্যবসায় এক বা একাধিক সহায়ক বা কর্মচারী রাখেন তাহলে তাদের মধ্যে সঠিক যোগাযোগ বা কোঅর্ডিনেশন বজায় রাখা।
৪. পরিমাপ করে ঠিক ততটাই জিনিস কেনা যতটা আপনার কাজে লাগবে অর্থাৎ জিনিসের যেন অপচয় না হয়।
৫. কোন খাদ্যদ্রব্য কোথায় কিভাবে রাখলে বহুদিন তাজা থাকবে তা ভালোভাবে জানা।
৬. খদ্দেরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তাদের কাজ থেকে আপনার পরিষেবা সম্বন্ধে মতামত বা ফিডব্যাক নেওয়া , যা ভবিষ্যতে আপনাকে আরও উন্নতমানের পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে।
৭. সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন কিন্তু একটা শিল্প , এবং এই শৈল্পিক দক্ষতা যত নিখুঁত হবে আপনি তত বেশি সংখ্যায় ক্রেতা আকর্ষণ করতে পারবেন।

তাই উপরিউক্ত বিষয় ভালো করে জানতে গেলে এবং নিজেকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে আপনি নীচে দেওয়া কোর্সগুলি করতে পারেন।

ডিগ্রী কোর্স :
এই কোর্সে ভর্তি হতে গেলে আপনার ন্যূনতম যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক হতে হবে।  আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক রন্ধন সংক্রান্ত কি কি ডিগ্রী কোর্স আপনি করতে পারেন
BA in Culinary Arts, Bachelor of Hotel Management (BHM), Bachelor of Catering Technology and Culinary Arts (BCT & CA), B.Sc. in Catering and Culinary Arts, Bachelor of Hotel Management and Catering Technology, B.Sc. in Hotel Management and Catering Technology.

 ডিপ্লোমা কোর্স :
এই কোর্স ভর্তি হতে গেলে ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ হতে হবে।  আসুন দেখে নেওয়া যাক রন্ধন সংক্রান্ত কি কি ডিপ্লোমা কোর্স আপনি করতে পারেন
Diploma in Culinary Arts, Diploma in Food Production, Diploma in Catering Technology, Diploma in Food and Beverage Science, Diploma in Bakery and Confectionery.

সার্টিফিকেট কোর্স :
এই কোর্স ভর্তি হতে গেলে ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাশ বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে মাধ্যমিক পাশ  হতে হবে।  আসুন দেখে নেওয়া যাক রন্ধন সংক্রান্ত কি কি সার্টিফিকেট কোর্স আপনি করতে পারেন
Chef Certification Course, Certificate in Food Production, Certificate in Catering Technology, Certificate in Food Production, Certificate in Food and Beverages.


শধু তাই নয় ,অনেক সময় জেনারেল স্ট্রিম এ নিউট্রিশন অথবা ডিয়াটেশিয়ান নিয়ে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স ডিগ্রী করেও আপনি এই ব্যবসায় নামতে পারেন।  অনেক সময় নিউট্রিশন এর সার্টিফিকেট থাকলে বিভিন্ন হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থা থেকে রান্না বান্না এবং খাদ্য সরবারহের অর্ডার নিয়ে দিব্যি ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন।


তবে মনে রাখবেন , যে কোনো জায়গায় ভর্তি হতে গেলে কিন্তু তার বৈধতা অবশ্যই যাচাই করবেন।  দেখে নিন যে আপনার কোর্স AICTE, UGC , NCVT এর মতন কোনো সরকারি সংস্থা বা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা অপ্প্রভ কিনা।

পরের পোস্টে আমরা অন্য কোনো বিষয় ব্যবসা সংক্রান্ত শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করবো।

(চলবে)

চোখ রাখুন আমাদের ব্লগে।  নিয়মিত লাইক , শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং আপনাদের মতামত অবশ্যই দেবেন।

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট - http://ssmwebdeveloper.000webhostapp.com/

Monday, April 29, 2019

ছোট ব্যবসা সংক্রান্ত শিক্ষা - পর্ব ১



অনেকেই ধারণা রাখেন যে পুঁজি , স্থান এবং সামান্য অভিজ্ঞতা থাকলেই যে কোনো রকমের ছোট ব্যবসা চালানো যেতে পারে।  কিন্তু এই ধারণা আজকের প্রতিযোগিতার দিনে সম্পূর্ণভাবে ভুল।  ব্যবসায় প্রতিযোগিতা যত বাড়ছে ততই ক্রেতাদের আপনার পণ্য বা পরিষেবার ব্যাপারে আশা এবং আকাঙ্ক্ষা বেড়ে চলেছে।  শুধু তাই নয়, সময় যত এগোতে থাকে তত ব্যবসায়িক কৌশল (business strategy) পাল্টাতে থাকে এবং তার সাথে থাকে সরকারি নিয়মকানুন এবং আইনের পরিবর্তন।  তাই সময়ের সাথে টিকে থাকতে গেলে এবং ব্যবসার মান উন্নত করতে গেলে শিক্ষাও অর্থাৎ যে পণ্য বা পরিষেবার ব্যবসা আপনি করেন সেই সংক্রান্ত বিষয় সঠিক জ্ঞান এবং দক্ষতা থাকা উচিত।
আসুন আজকে জেনে নেওয়া যাক দশম (10th ) এবং দ্বাদশ (12th) এর পর কি কি বৃত্তিমূলক (vocational) কোর্স করে আপনি ব্যবসায় সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারেন।

 চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় :

১. DIPLOMA IN MEDICAL LABORATORY TECHNOLOGY
হেমাটোলজি , ব্লাড ব্যাঙ্কিং এবং হিস্টো প্যাথলজির ওপর দক্ষতা অর্জন করে আপনি যে কোনো রকমের মেডিকেল ল্যাবরেটরি বা প্যাথলজি সংক্রান্ত ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

২. DIPLOMA IN MEDICAL LABORATORY TECHNOLOGY
 হেমাটোলজি , ব্লাড ব্যাঙ্কিং এবং হিস্টো প্যাথলজি ছাড়াও আপনি এই কোর্স করে ক্লিনিকাল       মাইক্রোবায়োলজি এবং প্যারাসিটোলজির ওপর দক্ষতা অর্জন করে মেডিকেল ল্যাবরেটরি বা প্যাথলজি সংক্রান্ত ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

৩. DIPLOMA IN X-RAY TECHNOLOGY, E C G TECHNICIAN,  CT SCAN TECHNICIAN, MRI SCAN TECHNICIAN
এক্স রে , রেডিওলোজি , ই সি জি ইমেজিং, হসপিটাল প্রাকটিস এবং পেশেন্ট কেয়ার এর ওপর দক্ষতা অর্জন করে আপনি উপরিউক্ত বিষয় সংক্রান্ত ব্যবসা খুলতে পারেন।  তবে মনে রাখবেন এই ধরণের ব্যবসায় পুঁজির কিন্তু বেশ প্রয়োজন থাকে।

৪. EYE TECHNICIAN, DIPLOMA IN OPTOMETRY
অটোমেট্রিক ইনস্ট্রুমেন্ট এবং চক্ষু সংক্রান্ত বিষয় দক্ষতা অর্জন করে আপনি চশমা বা লেন্স এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

৫. DIPLOMA IN MEDICAL TRANSCRIPTION
বর্তমানে মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন এর চাহিদা বিপুল।  দুটি অথবা তার বেশি  কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট যদি থাকে তাহলে মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন সংক্রান্ত ব্যবসায় নেমে ভালো অংকের টাকা রোজগার করতে পারেন।  কেমন মাত্র দেশি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে নয় , কাজের মান ভালো হলে বিদেশ থেকে ঘরে বসে অর্ডার পেতে পারেন।  যেহেতু এই ব্যবসায় কম্পিউটার সম্বন্ধে দক্ষতার প্রয়োজন হয় তাই এই কোর্সে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া কম্পিউটার সংক্রান্ত শিক্ষাও প্রদান করা হয়।

৬. MEDICAL EQUIPMENT TECHNICIAN, DIPLOMA IN MEDICAL EQUIPMENT TECHNOLOGY
চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্যে অথবা রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে প্রচুর চাহিদা আছে।  তাই MEDICAL EQUIPMENT TECHNICIAN কোর্স করে আপনি এই ব্যবসায় নামতে পারেন।

৭. PHYSIOTHERAPY TECHNICIAN 
ফিজিওথেরাপির কাজ কর্ম শিখে ব্যবসা শুরু করলে মন্দ নয়।  সময়ের সাথে সাথে ফিজিওথেরাপিস্ট এর চাহিদাও বাড়ছে।

মূলতঃ দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পর মেডিকেল সংক্রান্ত এইসকল কোর্সগুলি করে ব্যবসায় নামা যেতে পারে।  ইন্টারনেট এ খুঁজলে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।

আর হ্যাঁ, কোনো কোর্সে ভর্তি হবার আগে তার বৈধতা এবং শিক্ষণ সংস্থাটির বৈধতা ভালো করে দেখে নিয়ে তবেই তাতে ভর্তি হন, নইলে কিন্তু লোকসান হতে পারে।

পরের ব্লগ পোস্টে এই বিষয়ের ওপর আরও কোর্সের খোঁজ নেবো।

চোখ রাখুন আমাদের ব্লগে।  নিয়মিত লাইক , শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং আপনাদের মতামত অবশ্যই দেবেন।

( চলবে )


         আপনি কি কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে যুক্ত , মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপনের সমস্যা , ক্রেতার সংখ্যা বাড়াতে চান, যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। আমাদের পরিষেবা আপনার বাজেটের মধ্যেই |লাইক করুন মেসেজ করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এ এই লিংক এ , অথবা ইমেইল করুন আমাদের ssm.webdeveloper@gmail.com , আপনার ফোন নং সহ। আমরা খুব শীঘ্রই যোগাযোগ করবো আপনার সাথে। 

Saturday, April 27, 2019

বাড়ি থেকে ব্যবসা শুরু করতে হলে যা যা করণীয়






আপনাকে কি করতে হবে অথবা আপনি কি করবেন তা জানুন


•    আপনি সবথেকে ভালো পারেন এমন পাঁচটি কাজ।
•    আপনি যে কাজ গুলি ভালো করেন তার থেকে অন্যেরা মানে ক্রেতারা কিভাবে উপকৃত হবেন।
•    জেনে নিন, ক্রেতারা ঠিক যেমনটি চান অর্থাৎ তাদের চাহিদা কতটা পূরণ করতে পারবেন।
•    ক্রেতাদের কাছে আপনার পরিষেবার মূল্যায়ন অবশ্যই করুন।

•    জেনে নিন আপনার এলাকায় আপনি ছাড়া অন্য কেউ সেই ব্যবসার সাথে যুক্ত কিনা।
•    অন্যদের সফলতা এবং বিফলতা থেকে শিক্ষা নিন। 
•    নিজের সফলতার জন্যে নিজেই চেষ্টা করুন , নিজের মতন প্ল্যান করুন।  
•    ক্ষতি যদি হয় তাহলে তার জন্যে আর্থিক ক্ষতি যতটা সম্ভব কম হয়। 
•    নিজের কর্ম এবং ব্যবসাকে উপভোগ করুন।


ঘর থেকে শুরু করা যায় এমন ব্যবসার উদাহরণ 
ক্যাটারিং বা খাবার দোকানের ব্যবসা
-     আপনাকে রান্না জানতে হবে এবং রান্না বান্না সম্বন্ধে খোঁজ রাখতে হবে
-     যদি এই রান্না সংক্রান্ত কোনো ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা বা অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে তা বিজ্ঞাপনে দেওয়া ভালো।
-     ওয়ার্কলোড অনুযায়ী আপনাকে সবরকমের প্রস্তুতি রাখতে হবে। 

ব্যবসা শুরু করতে আপনার কি কি দরকার লাগবে ?
-  সরকারি কোন কোন নিয়মাবলী আপনাকে অনুসরণ করতে হবে
-  ব্যবসা শুরু করতে আপনার কত অর্থের প্রয়োজন হবে
-  ব্যবসা শুরুর পর আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন
-  কোথা থেকে আপনি সাহায্য পেতে পারেন
-  কি করে আপনি ক্রেতাদের কাছে তাড়াতাড়ি পৌঁছাবেন
-  ব্যবসা শুরু করার জন্যে আপনার কি কি উপকরণের প্রয়োজন হবে



         আপনি কি কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে যুক্ত , মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপনের সমস্যা , ক্রেতার সংখ্যা বাড়াতে চান, যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। আমাদের পরিষেবা আপনার বাজেটের মধ্যেই |লাইক করুন মেসেজ করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এ এই লিংক এ , অথবা ইমেইল করুন আমাদের ssm.webdeveloper@gmail.com , আপনার ফোন নং সহ। আমরা খুব শীঘ্রই যোগাযোগ করবো আপনার সাথে। 

Thursday, April 25, 2019

চাকুরী না ব্যবসা কোনটা বেছে নেবেন ??






সফল ক্যারিয়ার এর মূল উদ্দেশ্য হলো - বৃদ্ধি (Growth), কঠিন পরিশ্রম ( hard work),  উদ্বায়ীতা (Volatility) এবং সর্বশেষ আয় এবং সম্পত্তি ( Income and wealth) । এই চারটি উদ্দেশ্য কে স্থির রেখে চাকরি এবং ব্যবসা এই দুটি ক্যারিয়ার এর তুলনা করা যাক।

1. বৃদ্ধি (Growth) - 
আপনার পারদর্শিতা , জ্ঞান এবং ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে চাকরির শুরুর জীবনে আপনার উন্নতি বেশ তাড়াতাড়ি হতে থাকে এবং ফলস্বরূপ আপনি ধীরে ধীরে একটি ভাল ক্যারিয়ার এর সাথে  ভাল অর্থ উপার্জন করা শুরু করে দেন।  তবে দেখা গিয়েছে এক সময় এসে আপনার উন্নতি এবং বৃদ্ধি ছাদে ঠেকে যায় অর্থাৎ বন্ধ হয় যায়।  এটা প্রায় সবরকমের চাকরির ক্ষেত্রেই হয় থাকে।
অন্যদিকে ব্যবসায় উন্নতি খুব সহজ ব্যাপার নয়, বিশেষতঃ শুরুর দিকে।  শুরু করাটাই খুব কঠিন কাজ যাতে প্রচুর সময় এবং পরিশ্রম লাগে আবার এমনও হতে পারে যে বহুদিন পরেও আপনি আপনার বৃদ্ধি দেখতে পাবেন না।  কিন্তু যদি একবার নিজের পরিশ্রম , জ্ঞান এবং বুদ্ধির জোরে স্থিরতা লাভ করেন ( ব্রেক ইভেন পয়েন্ট ধরে অর্থাৎ নো প্রফিট নো লস) তাহলে দেখবেন যে বৃদ্ধি ধীর গতিতে হলেও শুরু হয়েছে এবং তা ধীরে ধীরে ত্বরান্বিত হচ্ছে।  যদি পরিকল্পনা এবং পরিশ্রমের অভাব না থাকে তাহলে খুব শিগগিরই আপনি বৃদ্ধিতে চাকুরী ক্ষেত্রের বন্ধুদের ছাড়িয়ে যেতে পারেন।


2. কঠিন পরিশ্রম (Hard work)
চাকুরী হোক বা ব্যবসা , কঠিন পরিশ্রম আপনাকে দুই ক্ষেত্রেই করতে হবে।  কিন্তু চাকুরী ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কেবল কঠিন পরিশ্রম অথবা সময় প্রদানই একমাত্র উন্নতির কারণ নয় , এর সাথে আরও অনেক কিছু বিষয় জড়িয়ে থাকে, যা আপনার ভাল না লাগলেও করতে হতে পারে।  যেমন উধঃস্তন কর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলা ( তা সে যতই খারাপ হোক না কেন ) । আর এটাও সত্যি আপনার কঠিন পরিশ্রমের ফল অন্যেরা ভোগ করেন।  আপনি তার খুব কম অংশই বেতন অথবা উপহার হিসাবে। পান
ব্যবসার ক্ষেত্রেও কেবল কঠিন পরিশ্রম যথেষ্ট নয়, কিন্তু যদি আপনি সৎ ভাবে ব্যবসা করেন তাহলে এমন কিছু নেই যে আপনি ভবিষ্যতের জন্যে তৈরী করতে পারবেন না।  আপনি ভবিষ্যতে ব্যবসার খারাপ সময় গুলি চিন্তা করে আপনার নিজের মতন প্ল্যান করতে পারেন ( যেতে চাকুরী ক্ষেত্রে বিশেষতঃ বেসরকারি কোম্পানিতে প্রায় অসম্ভব )। অথবা বেশি আয়ের জন্যে যা যা করণীয় তাই করে ফেলতে পারেন নিজের ইচ্ছা মতন এবং যার সম্পূর্ণ ফলাফল আপনারই থাকবে।
সবশেষে বলা যায় ব্যবসায় করা কঠিন পরিশ্রম কিন্তু চাকরিতে করা কঠিন পরিশ্রমের থেকে বেশি ভালো ফল প্রদান করে।

3.উদ্বায়ীতা (Volatility) 
আপাতভাবে দেখতে গেলে চাকরির ক্ষেত্র ব্যবসার ক্ষেত্র অপেক্ষা বেশি স্থিতিশীল দেখতে পারে তবে আদপে তা নয় ( একমাত্র সরকারি চাকরি ব্যাতিত ) । এখানে এমন দিনও আসতে পারে যখন আপনার কাজের কোনও গ্যারেন্টি নাও থাকতে পারে অথবা খারাপ সময় আপনার কোম্পানি আপনার আয়ের দায়ভার নাও নিতে পারে।
আর শুরুর দিকে ব্যবসাতেও স্থিরতা বলতে কিছু নেই এমনকি শুরুতে সামান্য ভুলের জন্যে আপনার ব্যবসা উবে যেতে পারে।  দিন কে দিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ , নতুন নতুন জিনিস শেখা।  তবে এই সময়টা পেরিয়ে এলে কিন্তু আপনি অবশ্যই চাকরির থেকে বেশি স্থিতিশীল জীবন যাপন করতে পারবেন।


4.আয় এবং সম্পত্তি (Income and wealth)
এক্ষত্রে চাকুরী এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য কিন্তু বেশ স্পষ্ট।  আপনি যদি কোনো ব্যক্তির কথা জানেন কিংবা আলাপ করে থাকেন এবং সেই ব্যক্তি যদি বিশাল সম্পত্তি কিংবা অর্থের অধিকারী হন, তাহলে নব্বই শতাংশ সম্ভাবনা যে তিনি একজন ব্যবসায়ী হবেন।  কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে এইরকম জায়গা পেতে গেলে ব্যবসায় আপনাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

উপরের তুলনা থেকে আপনার বিচার বা মতামত যাই হোক না কেন , এই কথা সত্যি যে আজকের যুগেও বেশিরভাগ ব্যক্তিই ব্যবসা অপেক্ষা চাকরির দিকে ঝোঁক বেশি রাখেন।

এর মূল কারণ হলো -
শুরুর দিকে চাকরিতে ঢুকে বিশেষতঃ আপনি কঠিন পরিশ্রমের পর আপনার পড়াশুনার ক্ষেত্রে উচ্চ ডিগ্রী লাভ করেছেন এবং ভালো রেজাল্ট করেছেন তখন চাকরিতে ঢুকে একটি মোটা অঙ্কের টাকা রোজগারের যে অনুভব তা খুবই সুখকর।

অন্যদিকে আপনার পড়াশুনা শেষ করে চাকরির বদলে ব্যবসায় ঢুকলে তা নিয়ে দৌড়ঝাঁপের অন্ত থাকে না।  বিশেষ করে ক্লায়েন্ট বা ক্রেতা খুঁজে বের করে তাকে পণ্য বিক্রি করা ব্যবসা শুরুর দিকে একটি সত্যই কঠিন কাজ।

তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সবাই ব্যবসার কথা চিন্তা না করে চাকরির কথা চিন্তা করেন।

এক কথায় বলা যেতে পারে যাদের বেশি অর্থ রোজগারের প্রয়োজনীয়তা খুব নেই এবং যারা নিজেদের স্থিতির ব্যাপারে ভীত, তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চাকরির দিকে যাবার চেষ্টা করেন।  অন্যদিকে সাহসী , যে কোনো চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হতে ভীত নন এবং অর্থ ও সম্পত্তির উচ্চতম শিখর ছুঁতে চান তারা কোনও না কোনও ভাবে ব্যবসার দিকে ঝুঁকবেনই।  আবার এমনও দেখা যায় যারা চাকরি এবং ব্যবসা দুইই সমান্তরাল ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।  তবে এইরকম চললে কর্মক্ষেত্র এবং ব্যক্তিগত জীবনে সামঞ্জস্য রক্ষা খুব কঠিন কাজ হতে পারে।



আপনাদের মতামত অবশ্যই জানান।



আপনি কি কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে যুক্ত , মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপনের সমস্যা , ক্রেতার সংখ্যা বাড়াতে চান, যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। আমাদের পরিষেবা আপনার বাজেটের মধ্যেই |লাইক করুন মেসেজ করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এ এই লিংক এ , অথবা ইমেইল করুন আমাদের ssm.webdeveloper@gmail.com , আপনার ফোন নং সহ। আমরা খুব শীঘ্রই যোগাযোগ করবো আপনার সাথে।


Tuesday, April 23, 2019

ছোট ব্যবসা - দ্বিতীয় পর্ব


প্রথম পর্বে আমরা দেখেছি স্বল্প বিনিয়োগে ক্ষুদ্র ব্যবসার কিছু উদাহরণ।  আজকে আরো কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো।

10. ভ্রমণ সেবা (Travel Service)
ভ্রমণ এবং ভ্রমণ সম্পর্কিত পরিষেবাদি প্রদান করে স্বল্প বিনিয়োগে আপনি তাত্ক্ষণিক লাভ করতে পারেন । লম্বা দূরত্বের বাস পরিষেবাগুলির সাথে টাই আপ,  আপনার ক্লায়েন্টদের জন্য বিভিন্ন গন্তব্যস্থলগুলিতে রেল টিকেটের অনলাইন রিজার্ভেশন এবং রিজার্ভ হোটেল অফার করুন।
আপনি আপনার স্থানীয় গ্রাহক এবং আপনার গ্রাহকদের জন্য অন্যান্য ছোটোখাটো প্রয়োজনীয়তা এবং পরিষেবাও যোগ করতে পারেন। আপনি কোনো বড় ট্রাভেল এজেন্টের  সাথে সহযোগিতা করতে পারেন অথবা পরিষেবা প্রদানকারীর সাথে চুক্তিতে প্রবেশ করে আপনার দ্বারা করা প্রতিটি রিজার্ভেশনের বা অন্যান্য পরিষেবার জন্য কমিশন পেতে পারেন।


11. মেডিকেল নমুনা সংগ্রহ (Medical Sample Collection)
এটি এখনও ভারতের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল, ছোট বিনিয়োগের ব্যবসা। এই ব্যবসায় কেবল আপনি রোগীদের  বাড়ি থেকে রক্ত এবং অন্যান্য পাথলোজিকাল পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করবেন।
পরে এই নমুনাগুলো বিভিন্ন বড় পাথলোজিকাল পরীক্ষাগারে জমা দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে এবং পরে তা রোগীদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে।
নমুনা সংগ্রহ এবং তাকে ঠিক রাখতে আপনার বিভিন্ন রাসায়নিক , গাড়ি এবং সামান্য পাথলোজিকাল দক্ষতার প্রয়োজন হবে ।
এই ব্যবসার মধ্যে প্রবেশ করার আগে আপনাকে এক বা একাধিক প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবের সাথে চুক্তির করতে হবে ।


12. প্রাচীন/এন্টিক আসবাবপত্র পুনর্নির্মাণ (Rebuild old furniture)
এন্টিক আসবাবপত্রের সঙ্গে অনেকেই মানসিক এবং হার্দিক ভাবে যুক্ত ।  তাই ক্ষতিগ্রস্থ এন্টিকের আসবাবপত্র পুনরুদ্ধার করা বা মেরামত করা হল এমন একটি ব্যবসা যার জন্যে আপনার প্রয়োজন সৌন্দর্য্য বোধ এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতার ।
আপনি আপনার গ্রাহকের ঘরে বা ব্যবসার স্থানে এন্টিক আসবাব পুনর্নির্মাণ করতে কারিগর ভাড়া করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, পুরাতন আসবাবপত্র পুনরুদ্ধার করা  খুব জটিল কাজ  এবং তার জন্যে আপনাকে বেশ দক্ষ শ্রমিকের জোগাড় করতে হবে।


13. সিসিটিভি ও নজরদারি (CCTV and surveillance)
মানুষ সুরক্ষা সম্বন্ধে দৈনন্দিন সচেতন হয়ে উঠছেন। সকলেই চুরি, ধর্ষণ এবং অন্যান্য অপরাধের থেকে নিজেদের পরিবার এবং নিজেদের রক্ষা করতে চায়।
ফলস্বরূপ, আরো এবং আরো মানুষ তাদের বাড়িতে এবং অফিসে সিসিটিভি এবং নজরদারি ক্যামেরা ইনস্টল করে থাকেন। এটি একটি কম বিনিয়োগ এবং উচ্চ আয়ের ছোট ব্যবসা ।


14. ঠিকানা যাচাই সেবা (Address Verification Service)
ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী এবং মোবাইল ফোন সংস্থাগুলি প্রায়শই গ্রাহকদের দ্বারা প্রদত্ত ঠিকানাগুলির প্রকৃত যাচাইকরণের প্রয়োজন হয় পরে  জালিয়াতি এবং ডিফল্ট প্রতিরোধ করতে ।
তাই আজকের দিনে এটি একটি কম বিনিয়োগের ব্যবসা যার প্রচন্ড চাহিদা । যাইহোক, আপনার একটি গাড়ির প্রয়োজন হবে এবং ব্যাংক এবং অন্যান্য পরিষেবা সরবরাহকারী দ্বারা সরবরাহিত গ্রাহক ঠিকানা দেখার জন্য লোকবলের প্রয়োজন হতে পারে।


15. আমদানি পণ্য (Import products)
বিদেশী সফরের পর দেশে ফিরলে ভারতীয়রা অনেকেই কিছু আমদানির আশায় বিদেশী জিনিস বিক্রয় করে থাকেন যেমন পণ্য সুবাস, প্রসাধনী, সিগারেট, মদ , চকলেট, খাদ্য আইটেম এবং অন্যদের মধ্যে টি শার্ট ইত্যাদি । ভারতে বিদেশি পণ্যের জন্য উন্মাদনা  নিশ্চিত করে যে আপনার এই পণ্যগুলির জন্য একটি ভাল বাজার রয়েছে।
খুব কম বিনিয়োগের দ্বারা এইরকম ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।  তবে খেয়াল রাখতে হবে যে বিদেশী পণ্যটি আপনি বিক্রি করছেন তার আইনগত ব্যাপারগুলি যেন ঠিক থাকে।


16. সোয়া পণ্য (Soya products)
আজকাল, মানুষ ক্রমবর্ধমান সংখ্যা নিরামিষাশী বা শাকাহারী হয়ে যাচ্ছেন । তাই সয়াবিন জাত দ্রব্য যেমন  সোয়া দুধ, টোফু (সোয়া দই), সোয়া আটা এবং সোয়া চিংকগুলি মাংসের একটি দুর্দান্ত বিকল্প হিসাবে বাজারে ভীষণ চাহিদা ।
উত্পাদন সরঞ্জাম সোয়া পণ্য মোটামুটি সহজ, যদি আপনার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকে তাহলে এটি একটি কম বিনিয়োগের ছোট ব্যবসা। আপনি এই মাইক্রো শিল্প শুরু করতে একটি ছোট ঋণ নিতে  পারেন।


17. অনন্য আইস ক্রীম (Unique Ice Cream)
কয়েক বছর আগে, লোকেরা টমেটো বা ক্যাপসিকাম দিয়ে তৈরি আইসক্রিমের কল্পনা করতো। তবে এই ধরনের অনন্য আইসক্রিম আজকাল বাজারে বিরাট চাহিদা।
দুর্ভাগ্যবশত, বিশাল বাজার সত্ত্বেও এই ধরনের বিরল আইস ক্রিমগুলির নির্মাতারা কম। আপনি যদি যথেষ্ট সাহসী হয়, তাহলে এই  অনন্য আইসক্রিম এর  কম বিনিয়োগের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।


18. সাইনবোর্ড(Signboard)
সাধারনত, ব্যবসা ও দোকানগুলিতে দুই  ধরণের সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হয়: পেইন্টেড এবং নিওন। প্রতিটি ছোট ব্যবসা এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সাইনবোর্ড প্রয়োজন।
ভালো ক্রিয়েটিভিটি পেলে  এখনো অনেকেই  কম খরচে সিগনবোর্ডে   ব্যবসার বিজ্ঞাপন দেন। ব্যবসার মালিকের নির্দিষ্টকরণ (specification) অনুসারে, সব ধরনের সাইনবোর্ড তৈরি ও সরবরাহ করা, সারা বছরের দাবিতে একটি স্বল্প বিনিয়োগের ব্যবসা।


19. স্টেশনারি সরবরাহ (Stationery supplies)
স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়  বাল্ক স্টেশনারি প্রয়োজন। এর মধ্যে কাস্টমাইজড লেটারহেড, ব্যবসায়িক কার্ড, খাম, চালান বই, রসিদ বই এবং মোটিলি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সামান্য বিনিয়োগ এবং কিছু পরিচিতির  সঙ্গে, আপনি এই বিপুল চাহিদার ব্যবসা করতে পারেন। এই লাভজনক উদ্যোগটি প্রবেশ করার জন্য আপনাকে প্রিন্টিং প্রেস এবং কয়েকটি সংস্থার সাথে চুক্তির প্রয়োজন হবে।


20. ডিজিটাইজ করা অডিও এবং ভিডিও (Digitized audio and video)
ভারতে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রিয় সঙ্গীত এবং চলচ্চিত্রের অডিও এবং ভিডিও টেপ, বিশেষ অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের প্রায়ই প্রয়োজন হয় । তবে  অডিও এবং ভিডিও ক্যাসেট প্লেয়ার এখন বিরল।
আজকাল, ডিভিডি এবং সঙ্গীত স্টোরেজ ডিজিটাল ফর্ম জনপ্রিয়। আপনি যদি পুরোনো ধরনের রেকর্ড প্লেয়ার, অডিও এবং ভিডিও ক্যাসেট প্লেয়ার অধিকারী হন তবে আপনি পুরানো রেকর্ডিং ডিজিটাইজ করার ব্যবসায়টি করতে পারেন।
আপনাকে এমন সরঞ্জামগুলিতে বিনিয়োগ করতে হবে যা আপনাকে পুরানো বিন্যাসে অডিও এবং ভিডিও অনুলিপি করতে সাম্প্রতিকতম কপি করতে সহায়তা করবে।


প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বের পর আশা করি বেশ কিছু ছোট ব্যবসার ধারণা আপনারা পেলেন।  তবে এখানেই শেষ নয় , আরো অনেক অনেক রকম ভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।  আগামী পর্বে আমরা দেখবো কিভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্যে আমরা মূলধন জোগাড় করতে পারি।


আপনি কি কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে যুক্ত , মার্কেটিং  এবং বিজ্ঞাপনের সমস্যা , ক্রেতার সংখ্যা বাড়াতে চান, যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।  আমাদের পরিষেবা আপনার বাজেটের মধ্যেই | 

লাইক করুন মেসেজ করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এ   এই লিংক এ , অথবা ইমেইল করুন আমাদের  ssm.webdeveloper@gmail.com , আপনার ফোন নং সহ।  আমরা খুব শীঘ্রই যোগাযোগ করবো আপনার সাথে।   

Monday, April 22, 2019

ছোট ব্যবসা - প্রথম পর্ব


সফলভাবে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করা প্রত্যেকের স্বপ্ন। তবে, অনেকেই  বিনিয়োগের জন্য তহবিলের অভাবের কারণে তাদের স্বপ্নকে নষ্ট হয় যেতে  দেখেছেন।

আপনি কিছু বিশেষ দক্ষতা থাকলে , স্বল্প  বিনিয়োগ করেও নিজস্ব ছোট ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। কিছু কিছু ছোট ব্যবসা বাড়ি থেকে পরিচালিত হতে পারে, আবার বিশেষ ক্ষেত্রে  আপনাকে ছোট ঘর বা জায়গা ভাড়া নিতে হতে পারে।

ছোট ব্যবসায় মূলধন জোগাড় :
সাধারণত, ছোট ব্যবসার যে কোনও ছোট মূলধন দিয়ে শুরু হয়। খুব সহজ শর্তাবলীতে  বিভিন্ন কমিউনিটি প্রতিষ্ঠান এবং সমবায় ক্রেডিট সোসাইটি  ছোট ব্যবসার জন্যে ঋণ দিয়ে থাকে । তাই আপনার যদি সত্যই বিনিয়োগের জন্যে মূলধন কম থাকে তাহলে সহজ শর্ত স্বাপেক্ষে ঋণ নিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের জন্যে ঋণ কি ভাবে পেতে পারেন , সেই বিষয় আমরা পরবর্তী ক্ষেত্রে আলোচনা করবো।


সাফল্যের জন্যে প্রয়োজন ভাল পরিকল্পনা: 
মনে রাখবেন, প্রাথমিক ভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায় পরিকল্পনায় ব্যর্থতা আদপে ব্যবসায় ব্যর্থতার মূল কারণ। অতএব, ব্যবসা শুরুর বেশ আগে থেকেই  আপনার ব্যবসা পরিকল্পনা সঠিক হওয়া প্রয়োজন। আপনার ক্ষমতা , জ্ঞান, পুঁজি অনুযায়ী প্রথমেই ঠিক করুন আপনি সার্ভিস সেক্টর বা রিটেল বা প্রোডাকশন কোন দিকে যাবেন। জেনে নিন আপনার ব্যবসার বিষয়বস্তু সম্বন্ধে খুঁটিনাটি অর্থাৎ বাজার মূল্য, লাভের সুযোগ, ব্যবসার স্থান ইত্যাদি।  উপরন্তু, আপনার সম্ভাব্য প্রতিযোগীদের  এবং বর্তমানে সেই ব্যবসায় পরিচিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে জেনে নিন অর্থাৎ তাদের সাফল্যের মূল চাবি কাঠি কি; কি কি বাধা পার হয় তারা আজকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন, ইত্যাদি। আপনার বিশ্বাসের লোকেদের সাথে কথা বলুন এবং প্রয়োজনে পরামর্শ নিন। উপরন্তু, লঞ্চ করার আগে আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের একটি ডাটাবেস নির্মাণ চাইলে করতে পারেন।


উপরিউক্ত বিষয়বস্তু গুলি সম্পন্ন হলে তবে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।  নীচে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসার উদাহরণ দেওয়া হলো যা সমসাময়িক ক্ষেত্রে খবুই লাভবান হতে পারে।


1. মোবাইল ফোন মেরামত / আনুষাঙ্গিক accessories / রিচার্জ
2022 সালের শেষ নাগাদ ভারতের প্রায় 800 মিলিয়ন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী থাকবে। অধিকন্তু, এই সংখ্যাটি আরও বাড়বে এবং ব্র্যান্ড এবং সস্তা বৈকল্পিক বাজারে প্রবেশ করবে। ফলস্বরূপ, মোবাইল ফোনের মেরামত প্রস্তাবকারী আউটলেট এবং ব্যক্তিদের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি আনুষাঙ্গিক এবং ক্রেডিট রিচার্জ বিক্রি করতে পারেন।


2. খাবার সেবা (টিফিন) (Meal service)
আজকের দিনে বিশেষতঃ মহিলাদের জন্য সেরা ছোট ব্যবসা ধারণা। আজকাল, বাড়িতে এবং কর্মস্থলের খাবার বিতরণের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি আপনার রান্নাঘর থেকে তাজা, স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত করে এবং অফিস ও ঘরে সরবরাহ করে  সঠিক বিনিয়োগের সাথে আপনার ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারেন।


3. Babysitting / চাইল্ড কেয়ার
এটি মহিলাদের জন্য একটি ছোট ব্যবসা যা বাড়ি বা ছোট স্থান থেকে শুরু করা যেতে পারে। একটি শিশু ও শিশু সেবা খোলার জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ খুব কম। আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে কিছু খেলনা,cribs, mattresses এবং আরও কিছু সহজলভ্য জিনিসের জন্যে । ডিসপোজেবল ডায়াপার, এন্টিসেপটিক লোশন এবং একটি ফার্স্ট এইড বক্সের মতন কিছু জিনিস মজুদ রাখুন।  কাজের যুগলদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আজকাল, বাচ্চাদের সেবা এবং চাইল্ড কেয়ার সুবিধাগুলি অত্যন্ত বেশি চাহিদা রয়েছে।


4. অ্যাকুয়ারিয়াম ও মাছ
এটি একটি ছোট ব্যবসা ধারণা যা আপনি কম বিনিয়োগ করে আপনার বাড়ির থেকে শুরু করতে পারেন। এই বাণিজ্যের জন্য, আপনাকে বিভিন্ন মাপের কয়েকটি অ্যাকোয়ারিয়াম এবং বিভিন্ন ধরণের মাছ কিনতে হবে  যা পোষা প্রাণী হিসাবে জনপ্রিয়।
আপনি বিশেষ ট্যাংক পালন করে মাছ প্রজনন করতে পারেন।
অতিরিক্তভাবে, বায়ু পাম্প, মাছের খাবার এবং অ্যাকোয়ারিয়ামগুলির জন্য আলংকারিক স্টাফ (decorative stuff) বিক্রি করা আপনাকে আরও বেশি মুনাফা দেবে। অ্যাকুয়ারিয়াম উপহার আইটেম হিসাবে জনপ্রিয়। যাইহোক, আপনি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পরিচালনায় ভাল রকমের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।


5. নার্সারি এবং বাগানের সামগ্রী
এটিও একটি কম বিনিয়োগের ছোট ব্যবসা ধারণা। পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে, এখন অনেক মানুষ তাদের অ্যাপার্টমেন্ট এবং অফিসে ছোট গাছপালা এবং বাগান রাখতে পছন্দ করেন।  সৌন্দর্যায়ন ও বাগান করার একটি মূল কারণ।

আপনি আপনার বাড়িতে এই ব্যবসা খুলতে পারেন। উপরন্তু, আপনি সার, বীজ এবং অন্যান্য বাগান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করতে পারেন।



6. জ্যাম, আচার , সস কেচাপ
যেহেতু লোকেরা তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ক্রমশ সচেতন হয়ে উঠছেন, তাই স্বাস্থ্যকর, অ-বাণিজ্যিক জ্যাম, আচার, সস এবং কেচাপগুলির চাহিদা বাড়ছে।
তাছাড়া, এখন বিষাক্ত রাসায়নিক মুক্ত খাদ্য এবং খাদ্য সামগ্রীর দিকে সকলের ঝোঁক বেশি। এই ক্ষেত্রে, আপনি ক্ষতিকারক রাসায়নিক মুক্ত ঐতিহ্যগত রেসিপির সঙ্গে জ্যাম, আচার , সস কেচাপ উত্পাদন করতে পারেন।


7. পোষা প্রাণীর যত্ন
ছুটির দিন বা ব্যবসার জন্য ভ্রমণ করার সময় অনেকেই তাদের পোষা প্রাণী সঙ্গে নিতে অক্ষম। অতএব, সকলে এমন পরিষেবাগুলি সন্ধান করে যা তাদের দূরে থাকা অবস্থায় তাদের পোষা প্রাণীগুলির যত্ন নেবে।

আপনার যদি  পোষা প্রাণী পরিচালনা সম্বন্ধে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে এটিও একটি ভালো ক্ষুদ্র ব্যবসা। আবার, এই ব্যবসায় খুবই কম বিনিয়োগ প্রয়োজন।


8. কেক এবং বেক
আপনার কাছে যদি ভালো চুলা , মাইক্রো ওভেন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম থাকে তাহলে আপনি কেক, মুফফিনস, কুকিজ এবং অন্যান্য বেকারি আইটেম তৈরীর একটি কম বিনিয়োগের ব্যবসা খুলতে পারেন।

সবাই এখন নতুন উন্নতমানের স্বাদের খাবার সবসময় খুঁজে চলেছেন।  তাই  এই ছোট ব্যবসার বিপুল সম্ভাবনা আছে। তবে এই ব্যবসার জন্যে বেশ দক্ষতার  প্রয়োজন হয় ।


9. এথনিক ফুড স্টোর
ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পটভূমি এবং তাদের রুচি সম্বন্ধে  আপনাকে ভালভাবে পরিচিত হবে।  তাহলে আপনি কম বিনিয়োগের সাথে একটি ছোট এথনিক ফুড স্টোর এর  দোকান খুলতে পারেন।
আপনাকে যা করতে হবে তা হল এমন পণ্যগুলি কিনুন যা দীর্ঘ শেল্ফ জীবন ( long shelf life ) আছে, সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলে অবস্থিত সরবরাহকারীদের থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের (বিশেষতঃ ভৌগোলিক এবং ধর্মীয় ) জন্যে বিভিন্ন ধরণের খাদ্যের সরবারহ করতে হবে।


( চলবে )


আপনি কি কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে যুক্ত , মার্কেটিং  এবং বিজ্ঞাপনের সমস্যা , ক্রেতার সংখ্যা বাড়াতে চান, যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।  আমাদের পরিষেবা আপনার বাজেটের মধ্যেই | 

লাইক করুন মেসেজ করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এ   এই লিংক এ , অথবা ইমেইল করুন আমাদের  ssm.webdeveloper@gmail.com , আপনার ফোন নং সহ।  আমরা খুব শীঘ্রই যোগাযোগ করবো আপনার সাথে।